ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা সাইয়্যেদ আব্দুল মালিক বদর আল-দিন আল-হুথি, বৃহস্পতিবার রাতে, ১৪ই মার্চ রাতে এক বক্তৃতায় বলেছেন: ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করার জন্য গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়া অন্যদের কাছে মুসলমানদের দায়িত্ব রয়েছে।
ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ নেতা বলেছেন: যুদ্ধ শুরুর ১৬০তম দিনেও গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ অব্যাহত রয়েছে। এই শাসনের কর্মকাণ্ডের অর্থ সর্বক্ষেত্রে গণহত্যা। গাজার শহীদরা শুধু একটি সংখ্যা নয়। বরং, গাজার শহীদরা তাদের জীবন হারিয়েছে এবং এটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া জনসংখ্যার দুর্ভোগ ও কষ্টকে দেখায়।
তিনি বলেন: "গাজায় শহীদ ও আহত মানুষের সংখ্যা, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, খুবই ভয়ানক, এবং এই সমস্যাটি বিশ্বের জন্য লজ্জাজনক, যারা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করে।"
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি বলেছেন, তার দেশের সামরিক বাহিনী ইহুদিবাদী ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত রাখবে। এর পাশাপাশি ইয়েমেনি যোদ্ধারা ভারত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ অফ গুড পর্যন্ত ইসরাইল-বিরোধী অভিযান বিস্তৃত করবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক টেলিভিশন ভাষণে আব্দুল মালিক আল-হুথি একথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল-বিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪ জন হুথি যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। তিনি আরো জানান, এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইয়েমেনের অভিযানে এ পর্যন্ত ৭৩টি জাহাজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন জাহাজ ও বার্জকে লক্ষ্য করে ১২টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে যাতে ৫৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করা হয়।
হুথি প্রধান বলেন, “আল্লাহর রহমতে আমাদের অভিযানের পরিধি ভারত মহাসাগর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং এরই মধ্যে ভারত মহাসাগরে তিনটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।” আব্দুল মালিক আল-হুথি সুস্পষ্ট ঘোষণা দেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন যতক্ষণ বন্ধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।