IQNA

মোবাহেলার আয়াত আমিরুল মু’মিনিন ও তার সন্তানদের বেলায়াতের স্পষ্ট প্রমাণ

23:39 - September 27, 2016
সংবাদ: 2601648
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সূরা আলে ইমরানের ৬১ নং আয়াত, আয়াতে মোবাহেলা ইসাবে পরিচিত। আর এই ঘটনায় আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী ইবনে আবি তালিব ও তার সন্তানদের বেলায়াতের বিষয়টি স্পষ্ট প্রমাণীত হয়। ইসলাম প্রতিটি ধর্মের সাথে সম্মানের সাথে ও শান্তিপূর্ণ আচরণ করে।
মোবাহেলার আয়াত আমিরুল মু’মিনিন ও তার সন্তানদের বেলায়াতের স্পষ্ট প্রমাণ

শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মহানবী (স.) ও নাজরানের প্রতিনিধি দলটি মোবাহেলার জন্য নির্ধারিত স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হল। নাজরানের প্রতিনিধিরা যথাস্থানে পূর্বে পৌঁছেছিল। তারা দূর হতে দেখতে পেল যে, মহানবী (স.) ইমাম হুসাইন (আ.) কে কোলে নিয়ে ও হাসান (আ.) এর হাত ধরে অগ্রসর হচ্ছেন এবং তাঁর সাথে হযরত আলী ও হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)ও রয়েছেন। তখন মহানবী (স.) তাঁদেরকে এ কথাই বলছিলেন যে, যখনই আমি দোয়া করব তোমরা আমিন বলবে।

পবিত্র কুরআনের ঘোষণা: فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ ما جاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعالَوْا نَدْعُ أَبْناءَنا وَ أَبْناءَكُمْ وَ نِساءَنا وَ نِساءَكُمْ وَأَنْفُسَنا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكاذِبِينَ

অতঃপর তোমার নিকট যখন জ্ঞান (কুরআন) এসে গেছে, এরপরও যদি কেউ (খ্রিস্টান) তোমার সাথে তার (ঈসার) সম্বন্ধে তর্ক-বিতর্ক করে, তবে বল, ‘(আচ্ছা, ময়দানে) এস, আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের, এবং আমাদের সত্তাদের এবং তোমাদের সত্তাদের।অতঃপর সকলে মিলে (আল্লাহর দরবারে) নিবেদন করি এবং মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষণ করি। (আলে ইমরান-৬১)

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম হুসাইনকে কোলে নিয়ে ইমাম হাসানের হাত ধরলেন এবং হযরত ফাতিমাকে নিজের পেছনে, আর হযরত আলীকে তাঁর পেছনে রাখলেন। অর্থাৎ ছেলেদের স্থানে তিনি নাতিদের, নারীদের স্থানে নিজ কন্যাকে এবং সত্তাবলে গণ্যদের স্থানে আলীকে নিলেন এবং দোয়া করলেন:

হে আল্লাহ! প্রত্যেক নবীর আহলে বাইত থাকে, এরা আমার আহলে বাইত। এদের সকল দোষ-ত্রুটি হতে মুক্ত ও পাক-পবিত্র রেখ।

বস্তুত তিনি এরূপ ভঙ্গীতে ময়দানে পৌঁছলে খ্রিস্টানদের নেতা আকব তা দেখে বলল: আল্লাহর কসম, আমি এমন নূরানী চেহারা দেখছি যে, যদি এ পাহাড়কে নিজ স্থান হতে সরে যেতে বলেন, তবে অবশ্যই সরে যাবে। সুতরাং মুবাহিলা হতে হাত গুটিয়ে নেওয়াই কল্যাণকর, অন্যথায় কিয়ামত অবধি খ্রিস্টানদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না। পরিশেষে তারা জিযিরা কর দিতে সম্মত হল।

তখন মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম! এরা যদি মুবাহিলা করত তবে আল্লাহ তাদের বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিতেন এবং ময়দান আগুনে পরিণত হয়ে যেত আর নাজরানের একটি প্রাণীও, এমনকি পাখি পর্যন্ত রক্ষা পেত না।এটা হযরত আলী (আ.)-এর একটি অতি উঁচু স্তরের ফযিলত যে, তিনি আল্লাহর আদেশে রাসূলের নাফস’ (অনুরূপ সত্তা) সাব্যস্ত হলেন এবং সমুদয় নবীর থেকে শ্রেষ্ঠ হলেন। (তাফসীরে জালালাইন, বায়দ্বাভী, ১ম খণ্ড, পৃ. ১১৮, মিশর মুদ্রণ)

captcha