ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিরিয়া সমর্থক কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন কক্স।
২০১৫ সালে ইয়র্কশায়ার থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টে প্রবেশের আগে, তিনি ত্রাণ সংস্থা অক্সফাম ও প্রো-ইউরোপিয়ান প্রচারাভিযান চালায় এমন এক সংগঠনে কর্মরত ছিলেন। তিনি ব্রিটিশের বিখ্যাত ত্রাণ সংস্থার সাথেও জড়িত ছিলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সামাজিক নেটওয়ার্ক টুইটারে তার ব্যক্তিগত পেজে জো কক্সের নিহতের বিষয়টি একটি দুর্যোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং তাকে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং কল্যাণমূলক প্রতিনিধি হিসেবে খেতাব করেছেন।
৪১ বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী কক্স ২০১৫ সালে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পে সোচ্চার ছিলেন। ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের লিডস শহরে জো কক্সের অফিস ছিল। তার অফিসে যাওয়ার সময় তিনি নিহত হন।
ইংল্যান্ডের মুসলমানদের নিন্দা
গ্রেট ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিলের (এম সি বি) মহাসচিব 'সুজা শাফিয়' এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি জো কক্সের হত্যার বিষয়টিকে নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন: জো কক্সের হত্যার খবর শোনার পর আমি বিস্মিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন: জো কক্সের মানবতার সেবা ও সাহায্য করার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা করে গিয়েছেন। নিঃসন্দেহে তার এই প্রচেষ্টা ব্রিটেন সহকারে বিশ্বের জনগণ মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে।
শাফিয় আরও বলেন: তিনি সিরিয়ার শিশু অধিকার রক্ষার্থে কাজ করেছেন এবং সেদেশে অভিবাসীদের আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সর্বশেষে তিনি বলেন: আমি জো কক্সের পরিবার বিশেষ করে তার স্বামী 'ব্রেন্ডান কক্সে'কে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।