ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অবরোধ ও আগ্রাসনের পরিণতি থেকে সেদেশের শিশুদের জীবন বাঁচাতে আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে সানায় ইয়েমেনি ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের মা ও শিশুর সুপ্রিম কাউন্সিল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন হাবতুর বলেন: আমরা নৃশংস আগ্রাসন এবং অবরোধের মুখোমুখি হয়েছি, যা বিশেষ করে শিশুদের উপর ব্যাপক ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং তারা এই আগ্রাসনের প্রথম মিনিট থেকেই প্রথম শিকারদের মধ্যে ছিল।
তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন: আমরা বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা শিশুদের এই অবস্থার জন্য দায়ী, যাদের মধ্যে প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যায়, কারণ তাদের মৃত্যু ইয়েমেনের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত আক্রমণ এবং এই দেশের সরাসরি আগ্রাসন ও অবরোধের ফলাফল।
ইয়েমেনের মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আলী আল-দিলামি বলেন: আমরা আগ্রাসন ও অবরোধের অষ্টম বছরের কাছাকাছি চলে এসেছি এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে এই মানবিক সংস্থাগুলো ইয়েমেনি জনগণ, বিশেষ করে শিশুদের সুরক্ষার জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করেনি।
তিনি বলেন: ইয়েমেনে শিশুদের অবস্থা খুবই কঠিন, লক্ষ লক্ষ শিশু অবরোধের চাপ এবং তাদের শরীর ও মনে হামলার যন্ত্রণা বহন করছে।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী নাজিব আল-কাবাতি বলেছেন: প্রতিদিন, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০০ জনেরও বেশি শিশু আগ্রাসন ও অবরোধ এবং এর বিপর্যয়কর প্রভাবের ফলে মারা যাচ্ছে।
তিনি বলেন: হাসপাতালে চিকিৎসা সংস্থান এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে ৪৩ শতাংশ নবজাত এবং প্রিম্যাচিউর শিশু অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোট ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ইয়েমেনে মার্কিন-সমর্থিত আক্রমণ শুরু করে। এই নৃশংস এবং সর্বাত্মক আগ্রাসনের সাত বছরেরও বেশি সময় পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য সৌদি মিত্ররা জোট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে।
কয়েক বছর ধরে, সৌদি-মার্কিন বিমান হামলায় হাজার হাজার ইয়েমেনি নাগরিক এরমধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু নিহত হয়েছে এবং দেশের অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। iqna