নবম হিজরির ২৪ শে জিলহজ মদীনায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও নাজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধি দলের মধ্যে ঐতিহাসিক ‘মুবাহিলা’ হওয়ার কথা ছিল। ‘মুবাহিলা’ বলতে মিথ্যাবাদী কে, তা প্রমাণের লক্ষ্যে মিথ্যাবাদীর ওপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষণের জন্য দোয়া বা প্রার্থনা করাকে বোঝায়। এই একই দিনে পূত-পবিত্র আহলে বায়েতের শানে আয়াতে তাতহীর নাযিল হয়।
এছাড়াও শিয়া আলেমদের মতে এই দিনে বেলায়েতের আয়াতও নাযিল হয়:
"إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ"
(হে বিশ্বাসিগণ!) তোমাদের অভিভাবক তো কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং সেই বিশ্বাসীরা যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত প্রদান করে। -সূরা মায়েদা, আয়াত নম্বর ৫৫
শিয়া ও সুন্নি উভয় মাজহাবের তাফসিরকারকরা একমত যে উপরোক্ত ৫৫ নম্বর আয়াতটি হযরত আলী (আ.)’র শানে নাজিল হয়েছিল। কারণ, হযরত আলী (আ.) রুকু অবস্থায় একজন সাহায্যপ্রার্থীকে হাতের আঙুল থেকে আংটি খুলে দিয়ে যাকাত দিয়েছিলেন। ইবনে মারদুইয়া ও খতিব বাগদাদি ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে এবং তাবরানি ও ইবনে মারদুইয়া আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) ও আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আয়াতটি আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) সম্পর্কে নাজিল হয়েছিল যখন তিনি রুকু অবস্থায় জাকাত দেন।
শিয়া’রা প্রতি বছর এই দিনে মু’মিনদের নেতা ইমাম আলী (আ.)এর মাযারে উপস্থিত হয়ে ইসলামী ইতিহাসে বর্ণিত এই দিনটি উদযাপন করেন। iqna