৫২ বছরের জয়শ্রী শোকলা ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি বলেন: রমজান মাসে রোজা রেখে, দেশের হিন্দু ও মুসলিম ধর্মের মধ্যে ভালবাসা ও শান্তি প্রচার এবং ভ্রাতৃত্ব জোরদার করার চেষ্টা করছি।
তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ফটোগ্রাফি ভালবাসেন। ২০১৫ সালে তিনি দিল্লির শাহ জাহানাবাদ অঞ্চলে ছবি তোলা শুরু করেছিলেন এবং সেখানে তিনি ইসলামী সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হন।
তিনি বলেন: শাহজানাবাদের জামে মসজিদ সহ দিল্লির পুরানো অংশগুলো আমার মনোযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। তিনি ভারতের উত্তরাঞ্চলের সংস্কৃতি সম্পর্কে কথা বলেছেন, সেখানে হিন্দু এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অনুসারীরা একত্রে বসবাস করেন। এই সম্পর্কে তিনি বলেন: ঐতিহ্যের প্রতি আমর অতি আগ্রহ ও উৎসাহর ফলে এই অঞ্চলগুলোয় আমি দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছি এবং এভাবে আমি পবিত্র রমজান মাসের সাথে পরিচিত হয়েছি।
ভারতের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ পর্যবেক্ষক এবং ফটোগ্রাফার হিসাবে জয়শ্রী শোকলা অসংখ্য বার মুসলমানদের সাথে উঠবস করেছেন। তখন তিনি মুসলমানদের অতিথেয়তা এবং সম্প্রদায়ের গ্রহণযোগ্যতার প্রভাবে প্রভাবিত হন এবং ইসলামী সংস্কৃতির প্রেমে পড়ে যান।
তিনি বলেন: মসজিদে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি যে, আমি কোন ধর্মের অনুসারী। মুসলমানেরা সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে যেসকল ইফতারি নিয়ে আসতেন, সেগুলো আমাকে দিতেন। তিনি গত বছর প্রথমবারের মতো রোজা রাখেন। তিনি বলেন: আমি হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও মসজিদে সকলে আমার সাথে শ্রদ্ধা ও স্নেহের সাথে আচরণ করতেন।
জয়শ্রী শোকলা বলেন: ২০১৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের পরে ইসলামফোবিয়া এবং সমাজের মেরুকরণ বাড়াতে থাকে। বর্তমানে মুসলিম এবং হিন্দুদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি সেতুর প্রয়োজন রয়েছে।
গতবছর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ১৭টি রোজা বাকি ছিল। তখন থেকে আমি রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সংহতি প্রদর্শন গুরুত্বপূর্ণ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের তীব্র বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তিনি রোজা রেখেছেন।
এ বছরও, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ছুটির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রমজানের প্রথম এবং শেষ দিনে রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জয়শ্রী শোকলা বিশ্বাস করেন যে, এটি তাকে সমাজের সাথে সংযোগ স্থাপনে এবং ইসলামিক সংস্কৃতি আরও ভালভাবে জানতে সহায়তা করবে। iqna