বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এরদোগান বলেন, ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সংঘটিত নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনা বের করে আনতে তুরস্ক তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। দৃশ্যত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কিছু খুনি বিচার এড়িয়েছে। সৌদি আরবে তারা দায়মুক্তি উপভোগ করছে।
তিনি বলেন, তুরস্ক এখনও এটা জানতে চায় খাশোগির মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছে? কার নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে?
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় এজেন্টরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন এরদোগান। ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন জামাল খাশোগি।
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএসের ৬০ মিনিট নামে একটি সাক্ষাৎকারধর্মী অনুষ্ঠানে সম্প্রতি মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, সৌদি আরবের শাসক হিসেবে খাশোগি হত্যার পুরো দায় আমার।
বিশ্ব বিখ্যাত ওই সাংবাদিককে হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর আগে প্রকাশ্যে কথা বলেননি সৌদি আরবের কার্যত নেতা মোহাম্মদ বিন সালমান। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও পশ্চিমা সরকারগুলো আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকেই দায়ী করে আসছিল। কিন্তু সৌদি কর্মকর্তারা দাবি করেন, এতে তার কোনো হাত ছিল না।
সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু পরে আবার সুর পাল্টে ফেলেছেন। যুবরাজ এখন বলছেন, খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ তিনি দেননি।
সৌদি কনস্যুলেটে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন ওঠে। এতে বিশ্বজুড়ে যুবরাজের ভাবমর্যাদা যেমন প্রশ্নের মুখে পড়েছে, তেমনি সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে তার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনাও বাধার মুখে রয়েছে।