IQNA

লম্বা হচ্ছে ফ্লয়েডদের তালিকা!

0:03 - June 06, 2020
সংবাদ: 2610912
তেহরান (ইকনা): করোনা ভাইরাসের এ সময়ে বর্ণবৈষম্যের বিষয়টি হঠাৎই সামনে আসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্ণবৈষম্য বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সামনে আসে বিভিন্ন দেশে বৈষম্যের শিকার হয়ে নিহতের ঘটনাগুলো।

ফ্রান্সের আদামা ট্রাউর একইভাবে পুলিশের হাতে নিহত হোন এবং মৃত্যুর আগে শ্বাস নিতে সংগ্রাম করেন। তার বোন জানায় পুলিশ বলেছিল মৃত্যুর আগে তার শেষ বাক্য ছিল আমি শ্বাস নিতে পারছি না। প্যারিসের রাস্তায় আইডি চেক করা নিয়ে পুলিশের হাতে ২৪তম জন্ম দিনের আগে তার মৃত্যু হয়। ৪ বছর আগে একইভাবে তিনজন পুলিশ তার উপর পা দিয়ে চেপে ধরেছিল বলে সিএনএনকে জানায় তার বোন আসা ট্রাউর।

ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবৈষম্য বিরোধী এ বিক্ষোভে ঢেউ লন্ডন থেকে সিডনি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। করোনা ভাইরাসে মানুষের সমাগম নিষিদ্ধ থাকলেও ফ্রান্সের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। তারা ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রাউর ন্যায়বিচার দাবী করে।

এ মৃত্যুর পর লন্ডনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটিতে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের সরকারি হিসেব মতে প্রতি হাজারে ৪ জন সাদা মানুষকে পুলিশ তল্লাশির জন্য দাঁড় করিয়েছে। অন্যদিকে প্রতি হাজারে ৩৮জন কলো মানুষকে তল্লাশির জন্য থামানো হয়েছিল। দেশটিতে গত দশ বছরে পুলিশের হেফাজতে ১৭৪১ জন নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে সাদাদের তুলনায় দ্বি-গুন কলো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে লন্ডন পুলিশ প্রধান ফ্লয়েডের মৃত্যুর নিন্দা করেছেন।

অস্ট্রেলিয়াতেও আদি গোষ্ঠির মানুষদের ওপর পুলিশি হয়রানির প্রচলন রয়েছে। সিডনিতে এমন একজন ১৭ বছরের কিশোরকে পুলিশ মাটিতে ফেলে দিতে আটক করে। পরে সে পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের স্বার্থে প্রত্যাহার করে নেয় হয় এবং আটককৃত বালককে মুক্তি দেয়া হয়। তবে এখানেও ২৬ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয় পুলিশ হেফজতে। ২০১৫ সালের এ ঘটনার বিচার দাবীতে এবার সোচ্চার হয়েছে দেশটির জনগণ।

করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে দেশে দেশে মানুষ বর্ণবৈষম্য ও পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। শেষ পর্যন্ত এ নতুন বিক্ষোভের বসন্ত শাসন ব্যবস্থায় কোন পরিবর্তন আনতে পারে কিনা তা সময়ই বলে দিবে। তবে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে মানুষ।
সূত্র: bhorerkagoj

captcha