বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ‘একজন শিক্ষক, একজন শিশু, একটি বই এবং একটি কলম পৃথিবীটা বদলে দিতে পারে’ – এই বাক্য দিয়ে পৃথিবীর সকলের মন জয় করে ফেলেছিল মালালা৷ আর ১৭ বছর বয়সেই এটাই তাকে এনে দিয়েছিল নোবেল শান্তি পুরস্কার৷
মালালা এখন একজন শিক্ষা প্রচারক হিসেবে পরিচিত৷ বিশেষত নারীশিক্ষা প্রসারে কাজ করছেন তিনি৷ কিন্তু সেই কাজেই এবার বাধার মুখে পড়লেন নোবেলজয়ী মালালা৷
দি ইককোনোমিক টাইমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কানাডার কুইবেকে শিক্ষা প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন মালালা ইউসুফজাই৷ কিন্তু সম্প্রতি কুইবেকের শিক্ষাদফতর একটি বিতর্কিত আইন পাশ করেছে। সেই আইনে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে ধর্মীয় চিহ্নযুক্ত কোনো কিছু সঙ্গে রাখা চলবে না৷ পুলিশ অফিসার, আইনজীবী এবং শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।
এদিকে মালালা নিয়মিত হিজাব পরেন, যা ইসলাম ধর্মের অন্যতম চিহ্ন৷ সেভাবেই তিনি কুইবেকে পড়াতে যেতেন৷ ফলে নতুন আইন অনুযায়ী, কুইবেকে তার পড়ানো নিষিদ্ধ৷
এনিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে কুইবেক শিক্ষা দফতর৷এমন আইনে খুশি নন অনেকেই। যদিও কুইবেকের শিক্ষামন্ত্রী জঁ ফ্রাঁসোয়া রবার্জের যুক্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্যই এই আইনটি পাশ করানো হয়েছে৷
আইনটি পাস হওয়ার পর জঁ ফ্রাঁসোয়া রবার্জ ফ্রান্সে সফরে গিয়ে মালালার সঙ্গে দেখা করেন৷ সে সময় মালালাও ফ্রান্সেই ছিলেন৷ দুজনের ছবি তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে পোস্ট করেছেন৷
সেই ছবি দেখে সাংবাদিকরা কুইবেকে মালালার পড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাকে জানিয়েছি কুইবেকে তিনি পড়ালে আমরা সম্মানিত হব৷ কিন্তু যে কোনো উদার, সহিষ্ণু দেশে শিক্ষকরা কোনো ধর্মচিহ্ন সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন, এরকম কোনো উদাহরণ নেই৷’
ছোট্ট এই কথার মধ্য দিয়েই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কুইবেকে পড়াতে হলে মালালাকে হিজাব ছেড়েই যেতে হবে৷ তবে এনিয়ে নোবেলজয়ী মালালার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে দি ইকোনোমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে। iqna