IQNA

ইমাম মাহদীর(আ.) রাষ্ট্রে নৈতিকতার বিকাশ

23:26 - December 11, 2017
সংবাদ: 2604531
সমাজের মানুষের সঠিক প্রশিক্ষণ ,কোরআন ও আহলে বাইতের সংস্কৃতির প্রসারের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে যে ,ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমতে চিন্তা ,চরিত্র ও ঈমানের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে।

ইমাম মাহদীর(আ.) রাষ্ট্রে নৈতিকতার বিকাশ



বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন; যখন আমাদের কায়েম কিয়াম করবেন নিজের হাতকে মানুষের মাথায় বুলিয়ে দিবেন এবং তার বরকতে তাদের জ্ঞান , বুদ্ধি , বিবেক ও চিন্তাশক্তি পরিপূর্ণতায় পৌঁছবে।

ভাল ও সৌন্দর্যসমূহ বিবেক পরিপূর্ণ হওয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়। কেননা ,বিবেক হচ্ছে মানুষের অভ্যন্তরীণ নবী। তা যদি মানুষের শরীর ও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মানুষের কর্মও সঠিক পথে পরিচালিত হবে ,আল্লাহর বান্দায় পরিণত হবে এবং সৌভাগ্যবান হবে।

ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর কাছে প্রশ্ন করা হল যে ,বিবেক কি? তিনি বললেন: বিবেক হচ্ছে তা যার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত হয় এবং তার (নির্দেশনার) মাধ্যমে বেহেশত অর্জিত হয়।

বর্তমান সমাজে আমরা দেখতে পাই যে ,কামনা-বাসনা বিবেকের উপরে স্থান পেয়েছে এবং নফসের তাড়না ব্যক্তি ,দল ও গোত্রের উপর এককভাবে নেতৃত্ব দান করছে । যার ফলে মানুষের অধিকার পয়মাল হচ্ছে ও ঐশী মর্যাদাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু ইমাম মাহদী (আ.)-এর সমাজ আল্লাহর হুজ্জাতের নেতৃত্বে যিনি হচ্ছেন পরিপূর্ণ বিবেক। আর পরিপূর্ণ বিবেক কেবলমাত্র সৎকর্মের দিকেই আহবান করবে।

ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমতের সকলেই ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিক হবে এবং হুকুমত প্রতিষ্ঠার সময় কারো প্রতি কারো শত্রুতা ও হিংসা থাকবে না।

ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: যখন আমাদের কায়েম কিয়াম করবেন, সবার মন থেকে হিংসা ও বিদ্বেষ দূরীভূত হবে।

তখন হিংসা-বিদ্বেষের আর কোন অজুহাত থাকবে না। কেননা, তখন সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং কারো অধিকার পয়মাল হবে না , সকলেই বিবেকের সাথে চলবে, কামনা-বাসনার সাথে নয়। সুতরাং হিংসা-বিদ্বেষের আর কোনো পথই অবশিষ্ট থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকেই আন্তরিক ও ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করবে এবং কুরআনি ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। শাবিস্তান

captcha